মতবিরোধপূর্ণ বিষয়ে সঠিক পন্থা অবলম্বনের উপায় APK

কিরামের কিরামের (রাঃ) যুগ থেকেই ইসলামে বিষয়ে মতপার্থক্য মতপার্থক্য সৃষ্টি আসছে. ইজতিহাদী মতপার্থক্য কখনো মুজতাহিদগণের খামখেয়ালির কারণে হয়নি হয়নি. সঃ ইজতিহাদ এবং মতপার্থক্যের মূল ভিত্তি ছিলো রাসুল রাসুল (সঃ) এবং সাহাবায়ে কিরামের আছার. কিরাম কিরাম (রাঃ), তাবেয়ী এবং ইমাম কালে মতপার্থক্য ইসলামের জন্য ক্ষতিকর ছিলোনা ছিলোনা. বরঞ্চ তখন তা ছিলো রহমত ও কল্যাণময়. কিন্তু পরবর্তীতে কিছু লোক বড় বড় করে থাকে. এটাকে বিদ্বেষ, গোঁড়ামী ও বিবাদ বিসম্বাদের হাতিয়ার হিসেবে করে. ফলে মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন উপদলের উপদলের. অজ্ঞতাবশত এদের এক দল নিজেদের সঠিক আর আর মতকে করে করে করে করে. ফলে সত্য সন্ধানী লোকেরা পড়েন বিপাকে. সাধারণ মানুষ হয় বিভ্রান্ত.

এ ধরণের মতপার্থক্য ও মতবিরোধপুর্ণ বিষয়ে কোন্ মত গ্রহনীয় আর কোন্ মত বর্জনীয়, একজন সত্যসন্ধানী কিভাবে উবয় মতের মধ্যে সমতা বিধান এবং তা অবলম্বনের জন্যে সঠিক পন্থাটাই বা কি সে সম্পর্কে মশহুও মুজতাহিদ ও মুজাদ্দিদ শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহ্লাবী তার 'আল ইনসাফ ফী বায়ানী আসবাবিল ইখতিলাফ' গ্রন্থে অত্যন্ত সুন্দরভাবে যুক্তিসিধ পর্যালোচনা ও সমাধান পেশ করেছেন.

গ্রন্থটি মুসলমানদের বিভিন্ন মসলকের মধ্যকার বিদ্বেষ, গোঁড়ামী, মতবিরোধ, বিবাদ বসম্বাদ ও রেষারেষী দূর করে তাদেরকে সীসাঢালা প্রাচীরের মধ্যে গ্রথিত ইটসমূহের ন্যায় মজবুতভাবে ঐক্যবদ্ধ উম্মাতে পরিণত করতে দারূণভাবে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি. সেই মহান উদ্দ্যেশ্য হাসিলের অনেকদিন থেকেই গ্রন্থখানা করার আশা আশা আশা আসছিলাম. এ কাজের গুরুত্বের কথা অনেকেই অনেকেই চিন্তা, বলেছেন. অবশেষে করুণাময় আল্লাহ ত আলার আলার ভরসা ভরসা গুরুত্বপুর্ণ গুরুত্বপুর্ণ গুরুত্বপুর্ণ দিই. ‚মতবিরোধপুর্ণ বিষয়ে সঠিকপন্থা অবলম্বনের উপায়‘ শিরোনামে সেই মুল্যবান গ্রন্থটিরই বঙ্গানুবাদ পাঠকগণের হাতে তুলে দিতে পেরে আল্লাহ্র শুকরিয়া আদায় করছি.

গ্রন্থটি আরবী ভাষায় লিখিত. খ্যাতনামা আরব আলিম আবদুল ফাত্তাহ আবু গুদ্দাহ সম্পাদিত এবং বৈরুতের ‚দারুন নাফায়েস‘ কর্তৃক প্রকাশিত 1984 ঈসায়ীতে মুদ্রিত গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করন আমার হস্তগত হয়. অপরদিকে ভারতে গ্রন্থটির উর্দূ করেছেন খ্যাতনামা আলিম মাওলানা ইসলাহী ইসলাহী. গ্রন্থটিকে গ্রন্থটিকে ইখতিলাফে মাসায়েল মে ই তেদাল তেদাল তেদাল নাম নাম নাম নাম নাম করেছেন. বিভিন্ন অধ্যায় এবং অনুচ্ছেদে বিভক্ত ক্রেছেন. সেগুলোতে চমৎকারভাবে শিরোনাম ও উপশিরোনাম বসিয়ে করেছেন করেছেন.

অনুবাদকালে আমি দদটি গ্রন্থকেই সামনে রেখেছি. টিকা টিপ্পনীর ক্ষেত্রে সহযোগীতা গ্রহণ করেছি. বিশেষ করে মাওলানা ইসলাহী শিরোনাম ও উপশিরোনামসমূহ হূবহূ করেছি করেছি.

অনুবাদ চলাকালে গ্রন্থটি মাসিক পৃথিবীতে ধারাবাহিকভাবে হয় হয়. এ সহযোগিতার জন্য আমি বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের পরিচালক পত্রিকাটির নির্বাহি সম্পাদক অধ্যাপক এ, কে, এম নাজির আহমদ এর নিকট আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ.

আল্লাহ তা'আলা এ গ্রন্থটির মাধ্যমে বাংলা ভাষাভাষী উলামায়ে কিরাম ও অন্যান্য শিক্ষিত সমাজকে ইজতিহাদী ও মাযহাবী মতপার্থক্যের ক্ষেতে সঠিক মতামত ও দৃষ্টিভংগি প্রতিষ্ঠার তৌফিক দিন এবং গ্রন্থকার ও অনুবাদককে আদালতে আখিরাতে জাযায়ে খায়ের দান করুন. আমীন.

আবদুস শহীদ নাসিম

সেপ্টেম্বর, 1991